সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং অযোগ্যতায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ক্ষুব্ধ শেখ হাসিনা শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও খবর ছড়িয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে।
রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচন, ৭টি উপজেলা পরিষদ, ৩টি পৌরসভার মেয়র ও
২২টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে এ
বৈঠক ডাকা হলেও এতে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, বৈঠকে ছাত্রলীগ নিয়ে আলোচনায়
প্রধানমন্ত্রী সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে বিরক্তি ও উদ্বেগ
প্রকাশ করেন।
সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিভিন্ন বির্তকিত কর্মকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন নেতা কথা বলেন বলে সূত্র জানায়।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবীসহ বির্তকিতদের পদ দেওয়া, ত্যাগী-পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের বঞ্চিত করা, কমিটি দিতে আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ও কানাঘুষা রয়েছে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিজেই বিবাহিত এমন অভিযোগ রয়েছে। সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা, অদক্ষতার অভিযোগও রয়েছে দুই জনের বিরুদ্ধে। এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের পরে উপস্থিত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
গত বছরের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনের আড়াই মাস পর গত বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদী আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এরপর দীর্ঘ ১ বছর পর গত ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর পদ না পাওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অনেকে আন্দোলন এমনকি অনশনেও বসে।